name='impact-site-verification' value='7218ab82-fa6b-4a24-b254-40c3054e2e65' (function(i,m,p,a,c,t){c.ire_o=p;c[p]=c[p]||function(){(c[p].a=c[p].a||[]).push(arguments)};t=a.createElement(m);var z=a.getElementsByTagName(m)[0];t.async=1;t.src=i;z.parentNode.insertBefore(t,z)})('https://utt.impactcdn.com/P-A2295452-0669-4ace-8f8d-5922a6b7ae411.js','script','impactStat',document,window);impactStat('transformLinks');impactStat('trackImpression'); স্বাধিনতা সংগ্রামী মেজর সত্য গুপ্ত

স্বাধিনতা সংগ্রামী মেজর সত্য গুপ্ত

 মেজর সত্য গুপ্ত 

জন্ম:- ১৮ জুলাই ১৯০২ - মৃত্যু:- ১৯ জানুয়ারি ১৯৬৮


সত্য গুপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নতুন প্রজন্মের কাছে নাম নাজানা অগ্নিযুগের সংগ্রামী ও একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দলের মেজর ছিলেন, তা থেকে তার নাম হয় মেজর সত্য গুপ্ত। ১৯৩০ সালের ২৯ শে আগস্ট ইংরেজ লোম্যান হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হন তিনি ও পরে আবার মুক্তি পান। ঠিক সেই বছরই ১৯৩০ সালের ৮ ই ডিসেম্বর বিনয়, বাদল ও দীনেশ গুপ্ত রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ করেন। এই মামলায় তিনি রাজবন্দি হন।
                ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত স্টেট প্রিজনাররূপে আলিপুর, বক্সার, মিনওয়ালি (পাঞ্জাব), যারবেদা (পুনা) জেলে বন্দি জীবন অতিবাহিত করেন তিনি। পরে তাকে হিজলি জেলে পাঠানো হয়। তারপর হিজলি জেল থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একনিষ্ঠ সহকারীরূপে সমস্ত কাজের সঙ্গী হন সত্য গুপ্ত।
                ১৯৪১ সালের ১৬ ই জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের মহানিস্ক্রম্মন হয়। আর তখন হতেই ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাজবন্দি হিসেবে থাকেন। রাজবন্দীর মুক্তির পর বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগু গ্রামে তিনি সমাজ সেবার কাজে যোগদান দেন। বাগু সপ্তগ্রামের পল্লী নিকেতনের সভাপতি ছিলেন মেজর সত্য গুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই পল্লী নিকেতনের সম্পাদকও ছিলেন আর এক বিপ্লবী - তিনি হলেন মহান বিপ্লবী নিকুঞ্জ সেন।
                স্বাধীনতা সংগ্রামী মেজর সত্য গুপ্ত ১৯৬৮ সালের ১৯ শে জানুয়ারি তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সত্য গুপ্তের জন্ম হয়েছিল অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় ১৮ ই জুলাই ১৯০২ সালে। তার পিতার নাম ছিল প্যারীমোহন গুপ্ত। ১৯১৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। পরে অশ্বিনীকুমার দত্তের নির্দেশ অনুসারে ১৯২১ সালে আই.এ পরীক্ষা বাতিল করেন। আগে থেকেই তিনি মহান বিপ্লবী মুক্তি সংঘের  হেমচন্দ্র ঘোষের প্রতিষ্ঠাতা ও গুপ্ত সমিতির সভ্য ছিলেন।
                ১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ সালে গুপ্ত বিপ্লবী দলের নির্দেশে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। সেখানে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র বসুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। ১৯২৮ সালে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে স্বাধীনতাকামী তরুণদের নিয়ে গঠিত করেন বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স বা B.V.। সামগ্রিক নেতৃত্বে থাকলেন সত্য গুপ্ত 'মেজর' হিসাবে। সর্বাধিনায়ক (GOC - General Officer commanding ) সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং।

 (তথ্যসূত্র সংগৃহীত কপি)
সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

close